Thursday, May 29, 2014

অস্কারজয়ী 'ফ্রোজেন' মুভির দলের একজন গর্বিত সদস্য বাংলাদেশি আমেরিকান নাশিত জামান

এবারের অস্কার আসরে সেরা অ্যানিমেশন মুভি ক্যাটাগরিতে পুরস্কার জিতে নিয়েছে ‘ফ্রোজেন’। আর ওয়াল্ট ডিজনি’র এ মুভিটি নির্মাণকারী দলের লাইটিং টিম জিতে নিয়েছে সম্মানজনক অস্কার পুরস্কার। আর এ টিমের একজন গর্বিত সদস্য ছিলেন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত আমেরিকার নাগরিক নাশিত জামান। নাশিত বর্তমানে ওয়াল্ট ডিজনি অ্যানিমেশন স্টুডিওতে কর্মরত রয়েছেন। ফ্রোজেন ছাড়াও তিনি লাইফ অফ পাই, দ্য স্মারফস, ট্যাঙ্গেল্ড, জি ফোর্স ইত্যাদি বিখ্যাত এনিমেটেট মুভির ফিল্মোগ্রাফির সাথে যুক্ত।
একই সাথে তিনি Traceback Studioর লেখক ও ডিরেক্টরও। নাশিত যুক্তরাষ্ট্রের কর্ণেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কম্পিউটার গ্রাফিক্সের উপর পোস্ট গ্র্যাজুয়েশন সম্পন্ন করেন।
আমেরিকা প্রবাসী কক্সবাজারের কৃতি সন্তান হারুনুজ্জামানের বড় মেয়ে এই নাশিত জামান। তিনি সাবেক সংসদ সদস্য মরহুম খালেকুজ্জামান ও সাবেক সংসদ সদস্য ইঞ্জিনিয়ার সহিদুজ্জামানের বড় ভাইয়ের প্রথম সন্তান। সাবেক শ্রমমন্ত্রী মৌলভী ফরিদ আহমদের প্রথম পুত্র হারুনুজ্জামান ১৯৭৮ সালে নিউক্লিয়ার ইঞ্জিনিয়ারিংয়ের উপর পিএইচডি নিয়ে আমেরিকায় গবেষণার পাশাপাশি বসবাস শুরু করেন। নাশিত জন্মগত সুত্রে আমেরিকান হলেও তার পিতৃভূমি কক্সবাজার তথা বাংলাদেশকে নিয়ে গর্ব করেন। ভবিষ্যতে তিনি তার কর্ম দিয়ে বিশ্বের আরো বড় বড় সম্মান ও স্বীকৃতি লাভের জন্য সকলের দোয়া কামনা করেছেন।

বড়দের ১০১ খান জোকস (১ম কিস্তি ১০ খান ১৮ +++ )

1
একবার ক্লাস এ পরীক্ষা চলছে ; যে শিক্ষক হল পরিদর্শনে আছেন পুরো হল এ চক্কর দিচ্ছেন ছাত্ররা বিন্দুমাত্র সুযোগ পাচ্ছেনা দেখা দেখি বা কথা বলার। ঠিক এই সময় এক ছাত্র শিক্ষক কে একটা চিরকুট ধরিয়ে দিলো সাথে সাথে শিক্ষক তার চেয়ার এ গিয়ে চুপচাপ বসে পড়লেন!! কি ছিল চিরকুট এ?? ...।
.
.
.
.
.
.
"স্যার আপনার প্যান্ট পিছন থেকে ফাটা" :p 

 2
মানসিক ডাক্তারের কাছে গেছেন এক রোগী।
ডাক্তার: কী সমস্যা আপনার?
রোগী: আমার নিজেকে একটা মুরগি মনে হয়।
ডাক্তার: কবে থেকে আপনার এ সমস্যা?
রোগী: যখন আমি ডিম ছিলাম, তখন থেকেই!

 3
BF: তার বান্দবিকে বলছে আচ্ছা বলতো ৬' ইঞ্চি একটা জিনিস যেটা দরলেই শরিরে অন্য রকম লাগে , আর আমি তোমাকে দিলে তুমি তা সাবধানে বিশেষ জায়গায় ঢুকিয়ে রাখ এবং আরও বেশী বেশি পরিমানে চাও। বলতো জিনিসটা কি?

GF: যা দুষ্ট , কি বল এইসব,আমার লজ্জা লাগে...আমি বলতে পারবোনা... !!!

BF:আরে লজ্জার কি আছে !! তুমিকি মনে করছ ??...আমি তো...
/
/
/
 /
/
/
/৫০০৳ টাকার নোটের কথা বলছি!!! তোমার দেখি চিন্তাই খারাপ....? ?

 4
বাবা আর ছেলে মার্কেটে গেছে। হঠাৎ ছেলে দেখে বাপের প্যান্টের চেইন খোলা!
ছেলেঃ বাবা, বাবা, তোমার প্যান্টের চেন খোলা!
বাবাঃ স্টুপিড, এভাবে বলতে নেই। বলতে হয়, “তোমার মেকআপ বক্স খোলা”
পরের দিন একই ঘটনার পুনরাবৃত্তি—–
ছেলেঃ বাবা, তোমার লিপস্টিক বের হয়ে গেছে।

 5
ক্লাস এ এক নতুন মেয়ে এসেছে শিক্ষক প্রশ্ন করলো এইযে তোমার নাম কি?? মেয়ের উত্তরঃ পিঙ্কি।
শিক্ষকঃ আগে পিছে কিছু লাগাও না??
পিঙ্কিঃ হুম আগে veet ক্রিম আর পিছে সরিষার তেল !!! :p :p ;p

 6
বাসর ঘরে জামাই বৌ করার জন্য জামা কাপড় খুলেছে।
বৌ:আমার সবকিছু তোমার পছন্দ হইছে?
জামাই:সবকিছু ঠিক আছে তবে তোমার বুক দুইটা বেশী ঝুলে পরছে।
বৌ:মানে? EDEN College এ ৫টা বছর কি শুধু আমি পড়ছি? আমার বুক দুইটা পড়ে নাই??

7
 এক মহিলা একজন দাঁতের ডাক্তারের কাছে গেলেন।
 ডাক্তার- আপনাকে কিভাবে সাহায্য করতে পারি?
 মহিলা-জি, দুটো দাঁত উঠাতে হবে।
 … ডাক্তার- ঠিক আছে, আপনি ওই চেয়ার-এ গিয়ে বসুন। আমি আসছি।
ডাক্তার গিয়ে দেখেন ওই মহিলা নিজের শাড়ি খুলে দু পা দুদিকে ছড়িয়ে বসে আছে। ডাক্তার মহিলার ওই অবস্তা দেখেত হতবাক!!
সে ভ্যাবাচ্যাকা খেয়ে মহিলাকে বলল,
ডাক্তার- আপনি ভুল জায়গায় আসছেন। এখানে যৌন চিকিৎসা নয় দাঁতের চিকিৎসা করা হয়!! 
মহিলা- আমিতো তাই করতে আসলাম।
ডাক্তার- মানে??!
মহিলা- আসলে গতকালকে আমার স্বামী আমাকে আদর করতে গিয়ে ওই দুইটা দাঁত ওইটার ভিতর ফেলে দিয়েছে!!
ওই দুটা দাঁত উঠানোর জন্যই আপনার কাছে এসেছি !! ::p :p :p 

 8
ছো‌‍ট জনি একদিন বাগানে মৌমাছি (Honey bee) উড়তে দেইখা মনের সুখে ধইরা ধইরা মারতেছিল । জনির বাপে দেইখা ওর কান মুচরা দিয়া কইলো “বান্দর পুলা, ১ মাস তোর Honey (মধু) খাওয়া বন্ধ। এরপর বাপ পোলা বাড়ি গিয়া দেখে জনির মা জুতা দিয়া বাইরায়া ধুমায়া তেলাপোকা ( Cock-roach) মারতাছে। জনি ৩২ দাঁত কেলায়া তার বাপরে কইল “আব্বা, আম্মারে গুড নিউজটা কি তুমি দিবা? নাকি আমারেই কইতে হইব

9
আনিস সাহেব একদিন হাটতে হাটতে দেখে একটি মেয়ে ব্রিজ থেকে লাফ দিতে যাচ্ছে।
আনিস সাহেব জিজ্ঞাস করলঃ আপনি কি আত্মহত্যা করতেছেন ???
মেয়েটাঃ হ্যাঁ...!!!
আনিস সাহেবঃ আপনি তো আত্মহত্যাই করতেছেন, তাই আমি কি আপনাকে একটা Kiss করতে পারি?
মেয়েটা রাজি হল, আনিস সাহেব Kiss করল।
Kiss করে জিজ্ঞাস করল আনিস সাহেবঃ আপনি কেন আত্মহত্যা করতেছেন ???

⇓ 






মেয়েটাঃ দেখুন, আমার কি দোষ, আমি ছেলে বলে কি মেয়েদের মতো কাপড় পড়ে একটু সাঁজতে পারি না, আজব, আমি মেয়েদের মতো কাপড় পড়তে চাই, কিন্তু আমার Family থেকে দেয় না, তাই এই জীবন আর রাখব না......!!!
কথাটা শুনে আনিস সাহেব নিজেই ব্রিজ থেকে লাফ দিয়ে আত্মহত্যা করল......!!! :p

 10
এক সুন্দরী মহিলা গেছে পুলিশরে অভিযোগ করতে:
স্যার, আমার ইজ্জ্বত লুইট্যা লইসে একবজ্জাত, লম্পট ক্রিকেটার ।
পুলিশ জিজ্ঞাসা করে: কেমনে বুঝলেন ক্রিকেটার ?
মহিলা: ওই লোকের হাতে গ্লাভস, মাথায় হেলমেট আর পায়ে প্যাড আছিলো । আর আমারমনে হ্য় ওইডা বাংলাদেশী ব্যাটসম্যান আশরাফুল আছিলো ।
পুলিশ: কেমনে বুঝলেন ওইডা আশরাফুল ?
 মহিলা: আরে বেশীক্ষণ টিকে নাই তো। শুরুর লগেই শ্যাষ !!!!!

বিশ্বব্যাপী প্রভাবশালী সেরা তিন বাংলাদেশী উদ্যোক্তার গল্প

সম্প্রতি লন্ডন-ভিত্তিক সংস্থা ‘ব্রিটিশ বাংলাদেশি পাওয়ার অ্যান্ড ইন্সপিরেশন’ প্রকাশ করেছে দেশের সেরা দশজন প্রভাবশালী বাংলাদেশির তালিকা, যারা ব্রিটেনের পাশাপাশি সারাবিশ্বেই কমবেশি বিপ্লবী ভূমিকা রেখেছেন। লন্ডনের ব্রিটিশ পার্লামেন্ট কমনওয়েলথ রুমে এই সেরা দশ প্রভাবশালী বাংলাদেশির তালিকা আনুষ্ঠানিকভাবে ঘোষণা করা হয়।
সেরা দশের এই তালিকার মধ্যে তিনজনই এমন ব্যক্তিত্ব যাদের বিপ্লবী অবদান রয়েছে প্রযুক্তিকে ঘিরে। কেবল প্রযুক্তিতে অবদান রাখা ব্যক্তিত্বদের তালিকা তৈরি করলে তিনজনের মধ্যে থাকবেন যথাক্রমে জাওয়েদ করিম, সালমান খান ও সুমাইয়া কাজী। চলুন এক নজরে দেখা নেয়া যাক প্রযুক্তিতে এই তিন বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সফল তিন উদ্যোক্তাদের কী অবদান রয়েছে। 

১। জাওয়েদ করিম – ইউটিউবের সহ-প্রতিষ্ঠাতা
ইউটিউবের নাম শোনেননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া কঠিন হবে। বাসায় ইন্টারনেট সংযোগ না থাকলেও একবার না একবার হলেও সবাই ইউটিউবে প্রবেশ করেছেন। বর্তমানে বিভিন্ন কোম্পানি ও মুভি/মিউজিক ইন্ডাস্ট্রিজের অফিসিয়াল চ্যানেল থাকলেও শুরুতে কিন্তু মোটেই তেমনটা ছিল না। ব্যক্তিগত বা হোম ভিডিও আপলোডের স্থান হিসেবেই যাত্রা শুরু করে ইউটিউব। আর এই যাত্রা শুরু হয় যেই তিনজনের হাত ধরে তাদের মধ্যে একজন এই জাওয়েদ করিম। আর তিনি বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত। সেরা ১০ প্রভাবশালী বাংলাদেশির তালিকায় তিনি দ্বিতীয় স্থান দখল করে রেখেছেন। 
জাওয়েদ করিমের জন্ম তৎকালীন পূর্ব জার্মানিতে ২৮শে অক্টোবর ১৯৭৯ সালে। তাঁর বাবা, নাইমুল করিম 3M কোম্পানিতে কর্মরত একজন বাংলাদেশী গবেষক। তার মা, ক্রিস্টিন করিম, ইউনিভার্সিটি অফ মিনেসোটাতে প্রাণ-রসায়নের একটি গবেষণা সহকারী অধ্যাপক। করিম জার্মানিতে বড় হয়েছেন। কিন্তু তাঁর পরিবার ১৯৯২ সালে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে চলে যায়।
করিম সেন্ট্রাল হাই স্কুল থেকে পাস করেন (সেইন্ট পল, মিনেসোটা), এবং ইউনিভার্সিটি অফ ইলিনয় অ্যাট আর্বানা শ্যাম্পেইনে ভর্তি হন। সেখান হতে তিনি ২০০৪ সালে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। জাওয়েদ স্ট্যানফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে কম্পিউটার বিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর পর্যায়ে পড়াশোনা করেছেন। সেখানে পড়া অবস্থায় করিম PayPal এ চাকুরি শুরু করেন।
PayPal-এ চাকুরি করার সময় তার সাথে পরিচয় হয় Chad Hurley ও Steve Chen এর সাথে। এই তিনজন পরে একটি ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট চালু করেন। গুগোল যখন ঐ ওয়েবসাইটটি কিনে নেয় তখন জাওয়েদ করিমকে ৬৪ মিলিয়ন ডলারের ১,৩৭,৩৩৪ টি শেয়ার দেওয়া হয়। করিম পরবর্তিতে এই টাকা বিভিন্ন ভার্সিটির ছাএদের বিভিন্ন বিজনেস আইডিয়া লন্চ ও ডেভলপ করতে ব্যবহার করেন। আপনার কাছে কোন ইউনিক কোন বিজনেস আইডিয়া থাকলে তাঁর সাথে যোগাযোগ করতে পারেন।
আমারদের এই জাওয়েদ করিমই জনপ্রিয় ভিডিও শেয়ারিং ওয়েবসাইট ইউটিউবের (YouTube) সহ-প্রতিষ্ঠাতা। ২০০৫ সালের ২৩শে এপ্রিল “Me at the zoo” নামের ভিডিওটি আপলোড করে করিম অফিসিয়ালি ইউটিউব আমাদের জন্য উন্মুক্ত করেন।


২। সালমান খান – খান একাডেমির প্রতিষ্ঠাতা
খান একাডেমি মূলত একটি অলাভজনক শিক্ষামূলক ওয়েবসাইট। ২০০৬-এ বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত সালমান খান এই শিক্ষামূলক সাইটটি প্রতিষ্টা করেন। তিনি এমআইটি ও হার্ভার্ড বিজনেস স্কুল থেকে গ্র্যাজুয়েশন করেছিলেন।
খান একাডেমি সাইটটিতে রয়েছে পড়াশোনার জন্য হাজার হাজার রিসোর্স। রয়েছে ১ লাখেরও বেশি অনুশীলনী, ৪ হাজারেরও বেশি মাইক্রো-লেকচার যেগুলো ভিডিও আকারে ইউটিউবে সংরক্ষিত রয়েছে। সাইটটিতে গণিত, পদার্থবিজ্ঞান, ইতিহাস, স্বাস্থ্যবিজ্ঞান, মেডিসিন, অর্থনীতি, রসায়ন, জীববিজ্ঞান, জ্যোতির্বিদ্যা, সৃষ্টিতত্ব, জৈব রসায়ন, আর্ট হিস্ট্রি, কম্পিউটার বিজ্ঞানসহ প্রচুর বিষয়ে পড়াশোনার জন্য রিসোর্স রয়েছে।
এই সব পাঠই বিশ্বব্যাপী যে কোনো শিক্ষার্থীর জন্য সম্পূর্ণ বিনামূল্যে সহজলভ্য। উইকিপিডিয়ায় প্রাপ্ত তথ্যমতে, খান একাডেমি প্রতি মাসে ইন্টারনেটের মাধ্যমে ৩০ কোটিরও বেশি পাঠ প্রায় ১ কোটি শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছে দিতে পেরেছে।অসাধারণ সব পরিকল্পনা জনসমক্ষে আনার জন্য গুগল ঘোষণা করে ‘প্রজেক্ট টেন টু দ্য হানড্রেড’ নামে ১০ মিলিয়ন ডলারের পুরস্কার। প্রতিষ্ঠানটির দশম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে ২০০৮ সালে এ ঘোষণা দেয়া হয়। এতে বিশ্বের ১৭০টির বেশি দেশ থেকে জমা পড়ে এক লাখ চুয়ান্ন হাজার আবেদন। দুই বছরের যাচাই-বাছাই শেষে প্রথমে ১৬টি পরিকল্পনা নির্বাচন ও তার তালিকা তৈরি করে গুগল। পরে চূড়ান্তভাবে বেছে নেওয়া হয় পাঁচটিকে। নির্বাচিত প্রকল্পগুলোকে আরও বিস্তৃত করার জন্য দেওয়া হচ্ছে বিভিন্ন অঙ্কের অর্থসহায়তা। শিক্ষা বিভাগে নির্বাচিত হয়েছে সালমানের ‘খান একাডেমি’র বিনামূল্যে শিক্ষামূলক অনলাইন ভিডিও টিউটরিয়াল। একাডেমিটিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ২০ লাখ ডলার পুরস্কার দিয়েছে গুগল। ২০১২ সালের জুনে ৮ জুন অনুষ্ঠিত ম্যাসাচুসেট্‌স ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজির ১৪৬ তম সমাবর্তনে সমাবর্তন বক্তা হিসেবে বক্তব্য দেন সালমান। ৩৫ বছর বয়সী সালমান খানই এমআইটির ইতিহাসে কনিষ্ঠতম সমাবর্তন বক্তা। ২০১২ সালের মে মাসে রাইস ইউনিভার্সিটিতেও সমাবর্তন বক্তা ছিলেন সালমান। ২০১০ সালে সালমান মাইক্রোসফট টেক অ্যাওয়ার্ড লাভ করেন।
সারাবিশ্বে ব্যাপক সাড়া ফেলা এই প্রকল্পের উদ্যোক্তা ও শিক্ষক সালমান খান যুক্তরাষ্ট্রের লুইজিয়ানায় জন্মগ্রহণ করেন। তার মা ভারতের কলকাতায় এবং বাবা বাংলাদেশের বরিশালে জন্মগ্রহণ করেন। লুইজিয়ানার পাবলিক স্কুল থেকে পাশ করে পরবর্তীতে তিনি ম্যাসাচুসেটস ইন্সটিটিউট অফ টেকনোলজিতে পড়াশোনা করেন।
সালমান খান বিশ্বের সেরা ১০ প্রভাবশালী বাংলাদেশির তালিকায় রয়েছেন চতুর্থ স্থানে।




৩। সুমাইয়া কাজী – সোশাল নেটওয়ার্ক সুমাজি’র প্রতিষ্ঠাতা
সুমাজি মূলত একটি ইন্টেলিজেন্ট সোশাল নেভিগেশন সিস্টেম যেটি ব্যক্তিগত ও পেশাদার নেটওয়ার্কের জন্য কাজে লাগানো হয়। এর প্রযুক্তি ব্যবহারকারীর সোশাল মিডিয়ার কর্মকাণ্ডের উপর ভিত্তি করে নতুন নতুন কানেকশন সুপারিশ করতে সক্ষম। মূলত এ কাজে এটি ফেসবুক ও প্রফেশনাল নেটওয়ার্ক লিংকডইন-এর উপর বাড়তি ‘লেয়ার’ হিসেবে কাজ করে থাকে। ব্যবহারকারীর নেটওয়ার্ক ও তার কর্মকাণ্ড বিশ্লেষণ করে বিভিন্ন সুযোগগুলোকে অগ্রাধিকার দেয় এবং নতুন নতুন ব্যবহারকারীকে সুপারিশ করে থাকে।
সুমাইয়া কাজী এই উদ্ভাবনী প্রযুক্তির নির্মাতা ও সুমাজি নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা। এটি মূলত স্যান ফ্র্যান্সিসকো ভিত্তিক একটি স্টার্ট-আপ যেটি ইতোমধ্যেই বেশ কয়েকটি অ্যাওয়ার্ড জিতে নিয়েছে। সুমাইয়া কাজী ক্যালিফোর্নিয়ার হলিউডে জন্মগ্রহণ করেন। পরবর্তীতে ইউনিভার্সিটি অফ ক্যালিফোর্নিয়া, বার্কলে থেকে ২০০৪-এ ডিগ্রি অর্জন করে তিনি সান মাইক্রোসিস্টেমস-এ কাজ করতে শুরু করেন। সেখানে কাজ করার সময়ই তিনি তার প্রথম কোম্পানি ‘দি কালচারকানেক্ট’ প্রতিষ্টা করেন যেটি তরুণ পেশাদারদের জন্য একটি মিডিয়া কোম্পানি হিসেবে কাজ করে। পরবর্তীতে ২০১১-এর এপ্রিলে তিনি সুমাজি প্রতিষ্ঠা করেন। স্টার্ট-আপদের নিয়ে সেরা প্রকাশনা টেকক্রাঞ্চ-এর ‘টেকক্রাঞ্চ ডিজরাপ্ট স্টার্ট-আপ ব্যাটলফিল্ড’-এ সুমাজি ফাইনালিস্ট পর্যন্ত যেতে সক্ষম হয়। সেখানে এটি Ommidzar Network অ্যাওয়ার্ড পায় যার বিভাগ ভিল “স্টার্ট আপ মোস্ট লাইকলি টু চেঞ্জ দ্য ওয়ার্ল্ড”। প্রকাশিত সেরা দশ প্রভাবশালী বাংলাদেশির তালিকায় নবম অবস্থানে রয়েছেন সুমাজির প্রধান নির্বাহী ও প্রতিষ্ঠাতা সুমাইয়া কাজী

চালকের নিরাপত্তা ডিভাইস তৈরিতে সফল বাংলাদেশী গবেষক

চালকের নিরাপত্তা ডিভাইস তৈরি করে সারা বিশ্বে চমক দেখালো বাংলাদেশিরা। যখন অ্যাপল ও বিএমডব্লিউ-এর মতো বিশ্বব্যাপী প্রায় ৫০০টি কোম্পানি গাড়ি চালকের নিরাপত্তার উপায় নিয়ে ভাবছে, তখন সেটাই আবিষ্কার করে দেখালেন বাংলাদেশের তরুণেরা। 

ইতোমধ্যে এসব তরুণ গবেষক গাড়ি চালকের শারীরিক ও মানসিক অবস্থা পর্যবেক্ষণকারী একটি নিরাপত্তা গ্যাজেট বা ডিভাইস তৈরি করেছেন।

তারা ডিভাইসটির নাম দিয়েছেন ‘ড্রাইভার ডিস্ট্রাকশন ম্যানেজমেন্ট সিস্টেম’। এ কাজে নেতৃত্ব দেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ড. এমডি. আব্দুর রাজ্জাক। 

ডিভাইসটি মূলত সড়ক দুর্ঘটনা কমিয়ে আনতে তৈরি করা হয়েছে। আধুনিক আইটি অবকাঠামোর বিভিন্ন যান্ত্রিক প্রক্রিয়ায় এটি ব্যবহার করা যাবে।

ড. আব্দুর রাজ্জাকের সার্বিক নির্দেশনায় কম্পিউটার বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিভাগের মেধাবী শিক্ষার্থী অমিত, তমাল, সাকিব ও নুসরাত রাত দিন পরিশ্রম করে এই ডিভাইস সিস্টেমটি তৈরি করেছেন।

ডিভাইসটি যেসব কাজ করবে : 

এটি চলন্ত অবস্থায় মোবাইল ফোনে কথা বলা, মাদক ও এলকোহল সেবন, নেশা, তন্দ্রা-ঘুম, হার্টবিটের ওঠানামার গড়, রক্তচাপ ও তাপমাত্রা থেকে শুরু করে গাড়ির চালকের সার্বিক শারীরিক ও মানসিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ করবে। 

চালককে অমনোযোগী ও বিপর্যস্ত দেখানোর সাথে সাথে, ডিভাইসটি চালককে তার গাড়ি চালনায় নিয়ম মতো মনোযোগী হওয়ার জন্য সতর্ক করতে বিশেষ শব্দ করবে।

এমনকি ডিভাইস সিস্টেমটিতে একটি জরুরি এসওএস বাটন রয়েছে। এর সুবিধা হল, হঠাৎ করে যদি কোনো দুর্ঘটনার আশঙ্কা দেখা দেয়, সেক্ষেত্রে চালক ওই বাটনটি চেপে সতর্ক করতে পারেন।
এ অব্স্থায় ডিভাইসটি গাড়ির মালিকের মোবাইল ফোনেও একটি অটো নোটিস দেবে। তাৎক্ষণিকভাবে যাত্রীদের প্রাণ বাঁচাতে এই নোটিসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।

এছাড়া সময় অনুয়ায়ী ওই গাড়ি ও চালকের সকল তথ্য ডিভাইসটির একটি অস্বচ্ছ ডাটাবেইজে সংরক্ষিত থাকবে। গাড়ির মালিক কম্পিউটার বা মোবাইলের মাধ্যমে এই ডাটা খুলে দেখতে পারবেন এবং দিনের যেকোনো সময় যেকোনো জায়গায় গাড়ি ও এর চালকের পরিস্থিতি পরীক্ষা করে দেখতে পারবেন।

ডিভাইসটির তৈরি সম্পর্কে ড. রাজ্জাক বলেন, "যে ডিভাইস সিস্টেমটি আমরা গড়ে তুলেছি, সেটি দুর্ঘটনায় মৃত্যুর হার এবং গাড়ির ক্ষয়ক্ষতি কমিয়ে রাখতে সাহায্য করবে। এছাড়া মালিক ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনী তাৎক্ষণিক গাড়ি ও চালকের অবস্থাও পরীক্ষা নিরীক্ষা করে দেখত পারবে।"

স্বীকৃতি : 

ইতোমধ্যে দেশে এবং বিদেশে ডিভাইসটি আবিষ্কারের পর ড. রাজ্জাক এবং তার টিমটি ব্যাপক স্বীকৃতি পেয়েছে।
অবশ্যই ডিভাইসটি তৈরিতে অস্ট্রেলিয়ার ইনফরমেশন সোসাইটি ইনোভেশন ফান্ড থেকে ৩০ হাজার অস্ট্রেলিয়ান ডলার পেয়েছেন গবেষক দল। 

সংস্থাটির ২০৯টি প্রজেক্টের মধ্যে ড. রাজ্জাকের নেতৃত্বাধীন টিমটি ১১তম অবস্থানে মনোনীত হন।

দেশের বিভিন্ন পর্যায়ের একাডেমিশিয়ান, পরিবহন মালিক, সরকারি কর্মকর্তাদের কাছে ড. রাজ্জাক তার এই আবিষ্কারটির পরিচয় তুলে ধরেছেন।

ডিভাইসটির দাম ধরা হয়েছে ২৫ হাজার। ইতোমধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে ডিভাইসটি সোহাগ পরিবহনের গাড়িতে যুক্ত করা হয়েছে। 

Monday, May 26, 2014

নোয়াখালীর ভাষায় অসাধরন একটি রম্য কবিতা

হিঁছা মার
—————–
ভোডের সময় হেতি কইছে

দশ টিঁয়া সের চাইল দিব

বালা মন্দ দেখব হেতি

যে জন ডোঙ্গায় ভোড দিব।

হোলা-মাইয়ার লেয়া হড়া

বিনা হইসায় চালাইব

অল্প-হইসায় হগল জিনিস

বেক মাইনেষরে খাওয়াইব।

হেতি অন হিরি গেছে

হন্চাষ টিঁয়ায় চাইল্ বেছে

হারা দেশে মারামারি

হেতিরা সব ঘুম গেছে।

হারাদিন কাম কইল্যে

হেডের ভাত জুডে না—

চৌয়ে-মুয়ে আঁধার দেহি

বিজলী ওতো থায়ে না।

দিন-দুহুরে খুন-খারাবি

চাঁদাবাজি চইলছে বেশ,

লুডি-কাডি খাইছে সবাই

বালা নাকি চইলছে দেশ।

চাইল নাই, ডাইল নাই,

বিজলী নাই ঘরে,

গ্যাস-হানির টানাটানি

হুরা শহরে।

মিছা কইয়া ভোড নিয়া

অইছে মিনিস্টার,

ভোডের লাই আইলে আবার

সবাই মিলি হিঁছা মার।

হাডা বাঁশে গোডা জাতি

আঁটকি গেছে ভাই,

হেতাগারে না দোড়াইলে

আংগো বাঁচন নাই।
----মূল কবিতাটি হিঁছা মার এখানে গুতা মেরে দেখেন।

একটি উত্তরাধুনিক কবিতা

প্রথম দেখায় তারা দেখাইলি,
দ্বিতীয় দেখায় সর্ষে ফুল
বইসা বইসা ভাবতেছি আজ,
ক্যামনে করছি এমন ভুল!!!!!
প্রথম যেদিন দেখছি তোরে,
পাড়ায় ঢোকার রাস্তাতে
দিনের আকাশেই দেখছি তারা,
কাপন ধরছে বুকটাতে।
তোর স্বপনে ফাকা পথেই,
চলতে গিয়া উষ্ঠা খাই
কারন ছাড়াই তোদের পাড়ায়
সকাল বিকাল ঘুরতে যাই
ভালবাসার কাব্য লিখে
সকাল বিকাল পাঠ করি
কাব্য শুনে রামছাগলটা
আপন মনে নারায় দাড়ি।
পাড়ার নেরি কুত্তা গুলো,
কাব্য শুনে দেয় তাড়া
জান বাঁচাতে ছুটি আমি,
ছুটতে ছুটতে তোর পাড়া।
ছুটতেছি আমি, ছুটতেছি আমি,
ছুটতেছে পিছে কুত্তারা
তাড়া খাওয়া আমায় দেখে,
খুশিতে তুই আত্মহারা।
৩২ দাতের বিটকেল হাসি,
হাইসা করলি সাবধান
শুনে আমার বুক ফাটিল,
এ কি কইলি জানের জান!!!!
ক্যামনে ভুলি, তুই কইছিলি
“আস্তে দৌড়ান, চাচাজান”
বুঝবি ক্যমনে, চাচা ডাক শুনে
স্বপ্ন হইল খান খান।

৯টি প্যারোডি কবিতা

১)
পাঞ্জেরি,আর কতো দেরি??
কবে ঝগড়া থামাবে টম এন্ড জেরি?
কবে শেষ হবে ডরেমনের জয়ভেরি??
বাংলা গান ছেড়ে ওরা গায় “তেরি মেরি”
জাতীর ভাগ্যে কুয়াশা জাগে শূন্যতা ঘেরি।
এই জন্যই কি বাংলায় গ্রন্থ রচিয়াছিলেন উইলিয়াম কেরি?
বলো পাঞ্জেরি!
ওরা হিন্দিতে কি পায়, এ এক বিশাল mystery!
তাই আমি চিন্তিত very very!
২)
কেউ কথা রাখে নি।
একচল্লিশ বছর কাটলো, কেউ কথা রাখেনি।
ছোটবেলায় কোনো এক জননেত্রী জনসভায় তার পরচর্চা হঠাত থামিয়ে বলেছিলো,
এদেশে আর লোডশেডিং থাকবে না।
তারপর মোমবাতি জালিয়ে কতো রজনী চলে গেলো,
কিন্তু সেই জননেত্রী আর এ মুখো হলেন না।
তিন বছর অপেক্ষায় আছি।
পদ্মা নদীর মাঝি “নৌকা”য় চড়ে বলেছিলো,
বড় হও দাদা থাকুর,
তোমাকে আমি পদ্মা সেতু দেখাবো।
সেই সেতুর উপর দিয়ে গাড়ি চলাচল করে।
“নৌকা”র মাঝি, আমি আর কতো বড় হবো?
আমার মাথা এ ঘরের ছাদ ফুড়ে আকাশ স্পর্শ করলে তারপর তুমি আমায় পদ্মা সেতু দেখাবে?
একটাও নিজের জিনিস কাছে রাখতে পারিনি কখনো।
বন্দুক-চাপাতি দেখিয়ে কেড়েছে রাজনীতিবাড়ির ছেলেরা।
ভিখারীর মতন মন্ত্রনালয় এর সামনে দাড়িয়ে দেখেছি ভেতরের দুর্নীতি উতসব।
ঘুষ খেয়ে ফুলে ওঠা মন্ত্রীরা কতোরকম আমোদে হেসেছে।
আমাদের দিকে তারা ফিরেও চায়নি।
বাবা আমার কাধ ছুঁয়ে বলেছিলেন,
দেখিস, একদিন, আমরাও…
বাবা এখন অন্ধ, আমাদের দেখা হয়নি কিছুই।
সেই সুখ, সেই সম্পদ আমায় কেউ ফিরিয়ে দেবে না।
এর আগে ভোটের সময় হাতে ধানের শীষ রেখে এক নেত্রী বলেছিলেন,
যদি আমায় ভোট দাও,
তবে তোমার ঘরেও এমন বস্তা বস্তা ধান মজুদ হবে।
ধানের জন্য আমি ভোট দিয়েছি,
বিবেকের চোখে বেধেছি কালো কাপড়,
সব ভোটের প্রতীক তন্ন তন্ন করে খুঁজে তাহাদের দিয়েছি সীল,
তবু কথা রাখেনি সেই নেত্রী,
তার হাতে শুধুই টাকার গন্ধ।
সে যে ক্ষমতার অধিকারিনী।
কেউ কথা রাখে নি,
একচল্লিশ বছর কাটলো,
কেউ কথা রাখে না।
৩)
আমি বলছি না পরীক্ষায় সাহায্য করতেই হবে,
আমি শুধু চাই কেউ একজন আমার দূরাবস্থা বুঝুক।
তার খাতা দেখে লেখার সুযোগ করে দেবার জন্য,
নিজে নিজে উঁকি দিতে গিয়ে আমি ক্লান্ত।
আমি বলছি না পরীক্ষায় সাহায্য করতেই হবে।
আমি চাই কেউ আমাকে উত্তর সম্পর্কে টিপস দিক।
আমি খাতা নিয়ে কাউকে আমার পাশে বসে থাকতে বলছি না,
আমি জানি, এই গার্লফ্রেন্ডের যুগ বন্ধুকে মুক্তি দিয়েছে বন্ধুসেবার দায় থেকে।
আমি চাই কেউ একজন জিজ্ঞেস করুক,
আমার কলম লাগবে কিনা, স্কেল লাগবে কিনা,
পেনসিল কম্পাসের সাথে একটা ব্যবহার যোগ্য ইরেজার লাগবে কিনা।
মারজিন দিতে, নাম রোল লিখতে আমি নিজেই পারি।
আমি বলছি না পরীক্ষায় সাহায্য করতেই হবে,
কেউ একজন আমার দৃষ্টিসীমার মাঝে তার খাতাটা রাখুক।
কেউ আমাকে লিখতে বলুক।
পৃষ্ঠা আদান প্রদানের সঙ্গী না হোক,
কেউ অন্তত আমাকে জিজ্ঞেস করুক,”দোস্ত, কিছু পারতেছিস তো?
৪)
সুরঞ্জনা,
ঐ প্রোফাইলে যেয়ো নাকো তুমি,
বন্ধুত্ব করো না ঐ যুবকের সাথে,
ফিরে এসো সুরঞ্জনা
টাইমলাইনের জঞ্জালহীন আমার এই প্রোফাইলটাতে…
৫)
হাজার বছর ধরে আমি করিতেছি ক্লাস এই ক্যাম্পাসে,
ক্লান্তিকর ল্যাব থেকে তিনতলার ঐ ক্লাসরুমে,
অনেক পড়েছি আমি, ফেসবুকহীন এই ধূসর জগতে,
সেখানে ছিলাম আমি, আরো দূর অন্ধকারে পরীক্ষা কক্ষে।
আমি ক্লান্ত প্রাণ এক, চারদিকে জীবনের বিচিত্র view!
আমারে দু দন্ড শান্তি দিয়েছিলো ক্যান্টিনের মাউন্টেন ডিউ!!!
৬)
ঠাঁই নাই, ঠাঁই নাই- ছোট এ মাথা!
অনেক পড়া সেথা হয়েছে গাঁথা!
মোর মস্তিষ্ক ঘিরে,
পরীক্ষার ভূত ঘুরে ফিরে,
শেষে অসুস্থ হইয়ারহিনু পড়ি-
তাহলে এখন আমি কি করি??
দেশ ও জাতি, আই অ্যাম সো সরি,
তীরে এসে মোর ডুবিলো তরী!!
৭)
ও মেধাবী তাই ওর খাতায় চেয়ে থাকি স্যার,
সেকি মোর অপরাধ?
গুণীর কদর করিতে যে
আমার হয়েছে সাধ!
৮)
বহুদিন ধরে, বই খাতা ছুড়ে,
বহু ব্যয় করি, ফেস বুকে ঘুরে,
দেখিতে গিয়াছি কত শত মানুষ,
সেথায় করিয়াছি বসবাস!
দেখা হয় নাই চক্ষু মেলিয়া,
বিছানা হইতে শুধু দুই পা ফেলিয়া,
একটি পড়ার টেবিলের উপরে
একটি সিলেবাস!
৯)
মহা ফাকিবাজ পড়া-ক্লান্ত!
আমি সেই দিন হব শান্ত!
যবে শিক্ষকের হুঙ্কার রোল ক্লাসরুমেতে ধ্বনিবে না,
শিক্ষকের খড়গ কলম পরীক্ষায় নাম্বার কাটিবে না,
ফাকিবাজ পড়া-ক্লান্ত
আমি সেই দিন হব শান্ত!

Thursday, May 22, 2014

আইনস্টাইন ভক্তদের জন্য কিছু তথ্য... part 3

আইনস্টাইন তার সুবিখ্যাত
সমীকরণ দ্বারা ভর ও শক্তির মধ্য সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। 
 সমীকরণ দ্বারা এটাই প্রতিয়মান হয় যে ভর, শক্তির  একটি রুপ, অর্থাৎ ভর ও শক্তি একই সত্তার ভিন্নরুপ। বাস্তবেও আমরা দেখেছি পারমানবিক বিস্ফোরণের সময় ভর নিঃশেষ হয়ে শক্তিতে রুপান্তরিত হয় যা আইনস্টাইনের সূত্রের এক বিমূর্ত প্রমাণ।
আচ্ছা শক্তি রুপান্তরিত হয়, পরিবাহীত হয় (যে জিনিস এর গতি আছে, অবশ্যই তার স্থিতিও আছে) আইনস্টাইন তার
 সমীকরণে আলোর বেগ সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। তার মতে আলোর বেগ সর্বদাই একই। আমার প্রশ্ন হল আলোর বেগ কি কখনও শূন্য হতে পারেনা…!...?
আমরা যে পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করছি তাতে অনেক Restriction আছে। আমরা কোন কিছু নিয়ে বেশিদূর চিন্তা করতে পারি না। আমাদের অসীম চিন্তাভাবনাগুলো বিজ্ঞানীরা তাদের কিছু সূত্র ও সীমাবদ্ধতা বা স্বীকার্য দিয়ে বেধে দেন। আমরা একটা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে বিজ্ঞান নিয়ে খেলাধুলা করি। অনেকটা পাড়ার গোলিতে ক্রিকেট খেলার মত চার মারা যাবে কিন্তু ছয় মারলে আউট।
যাই হোক, আমি যে কথা বলতে চাচ্ছি তা হল আলোর বেগ হয়তো শূন্য হতে পারে । একটা অবস্থার কথা চিন্তা করুন, যেখানে আলো উৎপন্ন হচ্ছে কিন্তু তা চারদিকে ছড়াতে পারছে না। হ্যাঁ আমি  রকম একটা অবস্থার কথাই কল্পনা করে বলছি। বর্তমানে সবচেয়ে সহজলভ্য শক্তি হয়তো আলো। কারণ তা ছড়াতে পারে এবং ব্যাপকভাবে  বিভিন্নভাবে ছড়াতে পারে। তাই আলোর গতিবেগ শূন্য কল্পানা করা অনেকটাবিস্ময়কর এবং আধুনিক পদার্থবিদ্যায় তা অসম্ভব। কিন্তু আমার মনে হয় আলোর গতিবেগ শূন্য হতে পারে। আমাদের পদার্থবিজ্ঞানের ব্যার্থতার কারণে আমরা হয়তো আলোর গতিবেগকে শূন্য ভাবতে পারছি না ।
আমার মতে আলোর গতিবেগ শূন্য হওয়ার জন্য তাপ ও চাপের একটি প্রভাব রয়েছে। আলোর গতিবেগ শূন্য হবে এমন একটা পরিবেশে যেখানে তাপমাত্রা অত্যন্ত কম এবং চাপ অত্যন্ত বেশি, হতে পারে তা
 এবং
। সাথে হয়ত আরও কোন প্রভাবকের ক্রিয়া থাকবে। কিন্তু আধুনিক পদার্থবিদ্যায়
 এর নিচে কোন তাপমাত্রা অসম্ভব। যা আমার কাছে বিস্ময় এবং অনেকটা হাস্যকর মনে হয়।  তাহলে কি সমস্ত মহাবিশ্বকে শূণ্যে পরিনত করার জন্য
তাপমাত্রাই যথেষ্ট বা শুধু তাপমাত্রা কি আদৌ কোন বস্তুর অস্তিত্ব নিঃশেষের ব্যাখ্যা দিতে পারে......?
আমি বিজ্ঞানী আইনস্টাইনকে এই কথা ভেবে ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তার চিন্তা এবং বিস্ময়কর সূত্র
এর মধ্যেই হয়ত আলোর শূন্যবেগের রহস্য লুকিয়ে আছে.........!
 তার
সূত্রের বিস্ময়কর আবিষ্কার হল সামান্য ভরের বস্তু থেকে ব্যাপক পরিমাণ শক্তির রুপান্তর। এটা সম্ভব হয়েছে মূলত আলোর বেগের ব্যাপকতার কারণে । আধুনিক পদার্থবিদ্যার মতে আলোর বেগই সর্বোচ্চ বেগ (এটাও হয়তো অসত্য......)
হয়তো বস্তুর ভরের মধ্যেই লুকিয়ে আছে আলোর শূন্য বেগের রহস্য
আমার মতে ভরের বিস্ময়কর নিঃশেষ একমাত্র আলোর শূন্য বেগের ফলেই সম্ভব হয়েছে।
আলোক শক্তি স্থির থাকে এবং তা লুকিয়ে থাকে বস্তুও ভরের মধ্যে...!
এটা হয়তো বিজ্ঞানী আইনস্টাইনও বুঝতে পেরেছিলেন। সে কারণেই হয়তো তিনি ভরকে  আপেক্ষিক ধরেছিলেন...! হয়তো তার চিন্তাটা ছিল আমার চিন্তার সামান্য ব্যতিক্রম। আমার চিন্তাটা তার মধ্য থাকলে সূত্রটা হয়তো
রুপ নিত না, হয়তো কিছুটা ব্যতিক্রম হত.......................
আলোর শূন্য বেগের অকাট্য প্রমাণ হয়তো কৃষ্ণগহব্বর। ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহব্বর সম্পর্কে আমাদের বিজ্ঞানীরা কতটুকুই বা ব্যাখ্যা দিতে পেরেছেন ? নাসার বিজ্ঞানীদে অনেক গবেষণাপত্রই আমেরিকা শাসক গোষ্ঠীর
হাতে বন্দী । বিজ্ঞান সম্পর্কে বর্তমানে  আমরা যা জানি তা হয়তো আজ থেকে ০০ বছর বা ২০০ বছর আগে কিছু কিছু মানুষ জেনেছিল বা ভেবেছিল। নাসার বিজ্ঞানীরা আজকে যা ভাবছে বা আবিষ্কার করছে তা হয়তো আমাদের হাতে পৌছাবে আরো ১০০ বছর পর। বিজ্ঞান নিয়ে কেন এত বড় রাজনীতি...?
যাই হোক ব্ল্যাকহোল নিয়ে যা বলছিলাম, তা হল আমাদের বিজ্ঞানীদের মতে ব্ল্যাকহোল থেকে আমরা সম্ভাব্য কোন তথ্যই পায় না এমনকি কোন স্বল্পমাত্রার বেতার তরঙ্গও নয়...! তার কারণ ব্ল্যাকহোলে যা কিছুই পাঠানো হোক না কেন তার বিন্দু মাত্র অংশও ফিরে আসে না। সবটাইশোষিত হয়। আমার প্রশ্ন ব্ল্যাকহোলে কিসের এত অভাব যে সে সবকিছু শোষণ করে...? ব্ল্যাকহোলে নিশ্চয়ই তাপ বা আলোর কোন অভাব নাই...। অভাব রয়েছে হয়তো আলোর বেগের !  আলোর শূন্যবেগ সম্পর্কে আমি কি বলতে চাচ্ছি আপনি নিশ্চ তা বুঝতে পেরেছেন...!