Thursday, May 22, 2014

আইনস্টাইন ভক্তদের জন্য কিছু তথ্য... part 3

আইনস্টাইন তার সুবিখ্যাত
সমীকরণ দ্বারা ভর ও শক্তির মধ্য সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। 
 সমীকরণ দ্বারা এটাই প্রতিয়মান হয় যে ভর, শক্তির  একটি রুপ, অর্থাৎ ভর ও শক্তি একই সত্তার ভিন্নরুপ। বাস্তবেও আমরা দেখেছি পারমানবিক বিস্ফোরণের সময় ভর নিঃশেষ হয়ে শক্তিতে রুপান্তরিত হয় যা আইনস্টাইনের সূত্রের এক বিমূর্ত প্রমাণ।
আচ্ছা শক্তি রুপান্তরিত হয়, পরিবাহীত হয় (যে জিনিস এর গতি আছে, অবশ্যই তার স্থিতিও আছে) আইনস্টাইন তার
 সমীকরণে আলোর বেগ সম্পর্কে আলোচনা করেছেন। তার মতে আলোর বেগ সর্বদাই একই। আমার প্রশ্ন হল আলোর বেগ কি কখনও শূন্য হতে পারেনা…!...?
আমরা যে পদার্থবিজ্ঞান নিয়ে লেখাপড়া করছি তাতে অনেক Restriction আছে। আমরা কোন কিছু নিয়ে বেশিদূর চিন্তা করতে পারি না। আমাদের অসীম চিন্তাভাবনাগুলো বিজ্ঞানীরা তাদের কিছু সূত্র ও সীমাবদ্ধতা বা স্বীকার্য দিয়ে বেধে দেন। আমরা একটা নির্দিষ্ট গণ্ডির মধ্যে বিজ্ঞান নিয়ে খেলাধুলা করি। অনেকটা পাড়ার গোলিতে ক্রিকেট খেলার মত চার মারা যাবে কিন্তু ছয় মারলে আউট।
যাই হোক, আমি যে কথা বলতে চাচ্ছি তা হল আলোর বেগ হয়তো শূন্য হতে পারে । একটা অবস্থার কথা চিন্তা করুন, যেখানে আলো উৎপন্ন হচ্ছে কিন্তু তা চারদিকে ছড়াতে পারছে না। হ্যাঁ আমি  রকম একটা অবস্থার কথাই কল্পনা করে বলছি। বর্তমানে সবচেয়ে সহজলভ্য শক্তি হয়তো আলো। কারণ তা ছড়াতে পারে এবং ব্যাপকভাবে  বিভিন্নভাবে ছড়াতে পারে। তাই আলোর গতিবেগ শূন্য কল্পানা করা অনেকটাবিস্ময়কর এবং আধুনিক পদার্থবিদ্যায় তা অসম্ভব। কিন্তু আমার মনে হয় আলোর গতিবেগ শূন্য হতে পারে। আমাদের পদার্থবিজ্ঞানের ব্যার্থতার কারণে আমরা হয়তো আলোর গতিবেগকে শূন্য ভাবতে পারছি না ।
আমার মতে আলোর গতিবেগ শূন্য হওয়ার জন্য তাপ ও চাপের একটি প্রভাব রয়েছে। আলোর গতিবেগ শূন্য হবে এমন একটা পরিবেশে যেখানে তাপমাত্রা অত্যন্ত কম এবং চাপ অত্যন্ত বেশি, হতে পারে তা
 এবং
। সাথে হয়ত আরও কোন প্রভাবকের ক্রিয়া থাকবে। কিন্তু আধুনিক পদার্থবিদ্যায়
 এর নিচে কোন তাপমাত্রা অসম্ভব। যা আমার কাছে বিস্ময় এবং অনেকটা হাস্যকর মনে হয়।  তাহলে কি সমস্ত মহাবিশ্বকে শূণ্যে পরিনত করার জন্য
তাপমাত্রাই যথেষ্ট বা শুধু তাপমাত্রা কি আদৌ কোন বস্তুর অস্তিত্ব নিঃশেষের ব্যাখ্যা দিতে পারে......?
আমি বিজ্ঞানী আইনস্টাইনকে এই কথা ভেবে ধন্যবাদ দিতে চাই যে, তার চিন্তা এবং বিস্ময়কর সূত্র
এর মধ্যেই হয়ত আলোর শূন্যবেগের রহস্য লুকিয়ে আছে.........!
 তার
সূত্রের বিস্ময়কর আবিষ্কার হল সামান্য ভরের বস্তু থেকে ব্যাপক পরিমাণ শক্তির রুপান্তর। এটা সম্ভব হয়েছে মূলত আলোর বেগের ব্যাপকতার কারণে । আধুনিক পদার্থবিদ্যার মতে আলোর বেগই সর্বোচ্চ বেগ (এটাও হয়তো অসত্য......)
হয়তো বস্তুর ভরের মধ্যেই লুকিয়ে আছে আলোর শূন্য বেগের রহস্য
আমার মতে ভরের বিস্ময়কর নিঃশেষ একমাত্র আলোর শূন্য বেগের ফলেই সম্ভব হয়েছে।
আলোক শক্তি স্থির থাকে এবং তা লুকিয়ে থাকে বস্তুও ভরের মধ্যে...!
এটা হয়তো বিজ্ঞানী আইনস্টাইনও বুঝতে পেরেছিলেন। সে কারণেই হয়তো তিনি ভরকে  আপেক্ষিক ধরেছিলেন...! হয়তো তার চিন্তাটা ছিল আমার চিন্তার সামান্য ব্যতিক্রম। আমার চিন্তাটা তার মধ্য থাকলে সূত্রটা হয়তো
রুপ নিত না, হয়তো কিছুটা ব্যতিক্রম হত.......................
আলোর শূন্য বেগের অকাট্য প্রমাণ হয়তো কৃষ্ণগহব্বর। ব্ল্যাকহোল বা কৃষ্ণগহব্বর সম্পর্কে আমাদের বিজ্ঞানীরা কতটুকুই বা ব্যাখ্যা দিতে পেরেছেন ? নাসার বিজ্ঞানীদে অনেক গবেষণাপত্রই আমেরিকা শাসক গোষ্ঠীর
হাতে বন্দী । বিজ্ঞান সম্পর্কে বর্তমানে  আমরা যা জানি তা হয়তো আজ থেকে ০০ বছর বা ২০০ বছর আগে কিছু কিছু মানুষ জেনেছিল বা ভেবেছিল। নাসার বিজ্ঞানীরা আজকে যা ভাবছে বা আবিষ্কার করছে তা হয়তো আমাদের হাতে পৌছাবে আরো ১০০ বছর পর। বিজ্ঞান নিয়ে কেন এত বড় রাজনীতি...?
যাই হোক ব্ল্যাকহোল নিয়ে যা বলছিলাম, তা হল আমাদের বিজ্ঞানীদের মতে ব্ল্যাকহোল থেকে আমরা সম্ভাব্য কোন তথ্যই পায় না এমনকি কোন স্বল্পমাত্রার বেতার তরঙ্গও নয়...! তার কারণ ব্ল্যাকহোলে যা কিছুই পাঠানো হোক না কেন তার বিন্দু মাত্র অংশও ফিরে আসে না। সবটাইশোষিত হয়। আমার প্রশ্ন ব্ল্যাকহোলে কিসের এত অভাব যে সে সবকিছু শোষণ করে...? ব্ল্যাকহোলে নিশ্চয়ই তাপ বা আলোর কোন অভাব নাই...। অভাব রয়েছে হয়তো আলোর বেগের !  আলোর শূন্যবেগ সম্পর্কে আমি কি বলতে চাচ্ছি আপনি নিশ্চ তা বুঝতে পেরেছেন...!

No comments:

Post a Comment