Sunday, November 2, 2014

শাহরুখ খান

শাহরুখ খান (হিন্দিशाहरुख़ ख़ानইংরেজিShah Rukh Khanআ-ধ্ব-ব: /ʃɑːhrux xɑːn/; জন্ম শাহরুখ খান; নভেম্বর ২, ১৯৬৫),[৪]অনানুষ্ঠানিকভাবে এসআরকে হিসাবে ডাকা হয়, একজন ভারতীয় অভিনেতা, প্রযোজক, টেলিভিশন উপস্থাপক এবং মানবপ্রেমিক। ১৯৮০ এর শেষের দিকে বেশ কিছু টেলিভিশন সিরিয়ালে অভিনয়ের মাধ্যমে তাঁর অভিনয় জীবন শুরু করেন। ১৯৯২ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত দিওয়ানা চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্র জগতে প্রবেশ করেন। এরপর তিনি অসংখ্য বাণিজ্যিকভাবে সফল চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন এবং খ্যাতি অর্জন করেন। শাহরুখ খান তেরবারফিল্মফেয়ার পুরস্কার লাভ করেন। এর মধ্যে আটটিই সেরা অভিনেতার পুরস্কার। তিনি বলিউডের অন্যতম সফল অভিনেতা। হিন্দি চলচ্চিত্রে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০০৫ সালে ভারত সরকার শাহরুখ খানকে পদ্মশ্রী পুরস্কারে ভূষিত করে।
বর্তমানে শাহরুখ খান পৃথিবীর সফল চলচ্চিত্র তারকা।[৫] তাঁর প্রায় কয়েক বিলিয়ন ভক্ত এবং তাঁর মোট অর্থসম্পদের পরিমাণ ২৩০০ কোটি রুপি-এরও বেশি।[৬] ২০০৯ সালে নিউজউইক তাঁকে বিশ্বের ৭১তম ক্ষমতাশীল ব্যক্তির খেতাব দেয়।[৫] ওয়েলথ-এক্স সংস্থার বিচারে বিশ্বের সবথেকে ধনী হলিউড, বলিউড তারকার তালিকায় শাহরুখ খান দ্বিতীয় স্থান পেয়েছেন। তিনি হলিউড তারকা ব্রাড পিট, টম ক্রুজ, জনি ডেপ দের পিছনে ফেলে দিয়েছেন

প্রাথমিক জীবন এবং পটভূমি[সম্পাদনা]

২০১২ সালে স্ত্রী গৌরীর সাথে খান; তিনি চলচ্চিত্র জীবন শুরু করার আগেই বিয়ে করেন।
খান ১৯৬৫ সালে একটি মুসলিম[৭] পরিবারে জন্ম গ্রহণ করেন পিতা নিউ দিল্লি, ভারতের পাঠান বংশদ্ভুত।[৮] তাঁর পিতা তাজ মোহাম্মদ খান তিনি একজন ভারতীয় স্বাধীনতা কর্মী ছিলেন পেশাওয়ার ব্রিটিশ ভারত থাকতে। খানের মতে, তার পৈতৃক দাদা ছিল প্রকৃতভাবে একজন আফগানিস্তাননাগরিক।[৯] তাঁর মা, লতিফ ফাতিমা, ছিল মেজর জেনারেল শাহ নওয়াজ খান জানজুয়া রাজপুত জাতি, ভারতীয় আজাদ হিন্দ ফৌজ সুবাস চন্দ্র বোস এর দত্তক মেয়ে।[১০] খানের পিতা ভারত বিভাগ হওয়ার আগে কিসা খাওয়ানি বাজারপেশাওয়ার থেকে নয়া দিল্লি চলে আসেন।[১১] যখন তার মায়ের পরিবার রাওয়ালপিন্ডি, ব্রিটিশ ভারত থেকে এসেছিলেন।[১২] খানের শেহনাজ নামে একজন বড় বোন আছে।[১৩] তাঁর জন্ম নাম শাহরুখ (অর্থ "রাজ মুখ") ছিল নির্দিষ্ট, কিন্তু পছন্দ করে তার নাম শাহ রুখ খান লিখিত হয়, এছাড়াও সাধারণত এসআরকে হিসাবে উল্লেখ করা হয়।[৪]
বেড়ে ওঠা রাজেন্দ্র নগর এলাকার মধ্যে,[১৪]

চলচ্চিত্র কর্মজীবন[সম্পাদনা]

অভিনেতা[সম্পাদনা]

১৯৮৮ সালে ফৌজী টেলিভিশন সিরিয়ালে কমান্ডো অভিমন্যু রাই চরিত্রের মাধ্যমে অভিনেতা হিসেবে তিনি আত্মপ্রকাশ করেন।[১৫] এরপর ১৯৮৯সালে সার্কাস সিরিয়ালে তিনি কেন্দ্রীয় ভূমিকায় অভিনয় করেন,[১৬] যেটি ছিল একজন সাধারণ সার্কাস অভিনেতার জীবন নিয়ে রচিত। একই বছর তিনি অরুন্ধতী রায়ের In Which Annie Gives it Those Ones টেলি-চলচ্চিত্রে গৌণ চরিত্রে অভিনয় করেন। তার পিতা-মাতার মৃত্যুর পর নতুন জীবন শুরু করার লক্ষ্যে শাহরুখ নয়াদিল্লী ছেড়ে মুম্বাই পাড়ি জমান।[১৭]
ফৌজীতে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি হেমা মালিনীর চোখে পড়েন যিনি শাহ রুখ খানকে তার অভিষেক ছবি দিল আশনা হ্যায়তে অভিনয়ের সুযোগ দেন।দিওয়ানা (১৯৯২) ছবির মাধ্যমে তিনি চলচ্চিত্রের জগতে যাত্রা শুরু করেন। এ ছবিতে তার বিপরীতে ছিলেন দিব্যা ভারতী। ছবিটি ব্যবসাসফল হয় এবং তিনি বলিউডে আসন গাড়তে সক্ষম হন।[১৮] আসলে তার প্রথম ছবি হওয়ার কথা ছিল দিল আশনা হ্যায় কিন্তু দিওয়ানা প্রথমে মুক্তি পায়। একই বছরে তিনি আরও কিছু ছবি যেমন চমৎকার, বিতর্কিত আর্ট ফিল্ম মায়া মেমসাবে অভিনয় করেন।
১৯৯৩ সালে বাজীগর ও ডর ছবিতে খলচরিত্রে অভিনয় করে তিনি বিপুল খ্যাতি পান। ডর ছবিতে শাহরুখ একজন অপ্রকৃতস্থ প্রেমিক এর ভূমিকায় অভিনয় করেন, ছবিটি খুব সাফল্য লাভ করে এবং তিনি তারকা খ্যাতি পান। বাজিগর ছবির জন্য তিনি তার ক্যারিয়ারের প্রথম ফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কারলাভ করেন। এছাড়া তিনি কাভি হাঁ কাভি না ছবিতে একজন ব্যর্থ যুবক ও প্রেমিকের চরিত্রে অভিনয় করেন যার কারনে তিনি সমালোচকদের রায়ে শ্রেষ্ঠ অভিনেতা নির্বাচিত হন।
১৯৯৪ সালে তিনি আঞ্জাম ছবিতে অভিনয় করেন যেটি ব্যবসাসফল হয়নি। তবে সাইকোপ্যাথ হিসেবে তার অভিনয় সমাদৃত হয় এবং তিনি ১৯৯৫ সালেফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ ভিলেন পুরস্কার লাভ করেন।
১৯৯৫ ছিল তার জন্য খুব সাফল্যের বছর। দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে বক্স অফিস রেকর্ড ভাঙ্গে[১৯] এবং এর সব কৃতিত্ব পান তিনি। ছবিটি ৫২০ সপ্তাহের বেশি প্রদর্শিত হয়। ভারতের সর্বাধিকবার প্রচারিত ছবি হিসেবে যাকে তুলনা করা যায় শোলের সাথে যা ২৬০ সপ্তাহ চলেছিল। ছবিটি বর্তমানে বারো বছর ধরে প্রদর্শিত হচ্ছে এবং প্রায় ১২ বিলিয়ন রুপির চেয়েও বেশি অর্থ আয় করেছে।[২০]
খান স্বদেশ ছবির চিত্রায়নের জন্যনাসায় ২০০৪
দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গের পর তিনি বেশ কটি ছবিতে সাফল্য পান, যার অধিকাংশই ছিল প্রেম-কাহিনী। যশ চোপড়া এবং করন জোহরের সাথে মিলে তিনি বলিউডে সফলতা পেতে থাকেন। এসব চলচ্চিত্রের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছেঃ পরদেশদিল তো পাগল হ্যায় (১৯৯৭), কুছ কুছ হোতা হ্যায় (১৯৯৮),মোহাব্বতে (২০০০), কাভি খুশি কাভি গাম... (২০০১), কাল হো না হো (২০০৩) এবং বীর-জারা(২০০৪)।[২১] এছাড়া অন্যান্য পরিচালক যেমন, আজিজ মির্জারইয়েস বস (১৯৯৭), মনসুর খানের জোশ (২০০০) এবং সঞ্জয় লীলা বনসালির দেবদাস (২০০২) ব্যবসা সফল হয়।
আঞ্জাম (১৯৯৪), দিল সে (১৯৯৮), স্বদেশ (২০০৪) ও পহেলি (২০০৫) ছবির জন্য শাহ রুখ খান সমালোচকদের দৃষ্টি আকর্ষন করেন।[২১]
২০০৬ সালে করন জোহরের কভি আলবিদা না কেহনা (২০০৬) ছবিটি ভারতে মোটামুটি ব্যবসা করলেও বিদেশে ব্যবসাসফল হয়।[২২] একই বছরে ডন ছবিতে অভিনয় করেন যেটিও ব্যবসাসফল হয়েছিল।[২৩]
২০০৭ সালে শাহরুখের প্রথম মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ছিল চাক দে! ইন্ডিয়া। বাণিজ্য সফল এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য শাহরুখ সপ্তমবারের জন্য ফিল্মফেয়ার সেরা অভিনেতার পুরস্কার পান। তাঁর অন্য মুক্তিপ্রাপ্ত ছবি ওম শান্তি ওম ২০০৭ সালের সবচেয়ে বাণিজ্য সফল ছবি।[২৪]
২০০৮ সালে শাহরুখের রব নে বানা দি জোড়ি ছবিটি খুব ভাল ব্যবসা করে ।
বর্তমানে সারা বিশ্বে বলিউডের জনপ্রিয়তম ব্যাক্তিত্বদের মধ্যে শাহরুখ খান অন্যতম। তাঁর অভিনীত হে রাম,দেবদাস এওং পহেলি ভারত থেকে অস্কার এ পাঠানো হয়েছিল। শাহরুখ-কাজল জুটি বলিউডের অন্যতম সেরা জুটি হিসেবে স্বীকৃত। কাজলের সাথে তাঁর অভিনীত বাজীগর,দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গেকরন অর্জুনকুছ কুছ হোতা হ্যায়কাভি খুশি কাভি গাম...। এই ৫টি ছবিই ব্যবসা-সফল হয়। ১৫ বছরের অভিনয়জীবনে তিনি ভারতের সর্বকালের সর্বশ্রেষ্ঠ ও জনপ্রিয়দের কাতারে অমিতাভ বচ্চন-এর পরবর্তীস্থান এর শক্ত দাবিদার।
খান, কারিনা কাপুর ও অর্জুন রামপালরা.ওয়ান ছবির প্রিমিয়ারে লন্ডন ২০১১।

প্রযোজক[সম্পাদনা]

শাহরুখ খান বিভিন্ন ছবি প্রযোজনাতেও হাত দিয়েছেন। তবে এখানে তার সাফল্য মিশ্র প্রকৃতির। ১৯৯৯ সালে তিনি পরিচালক আজিজ মির্জা ও অভিনেত্রী জুহি চাওলার সাথে তিনি ড্রিমজ আনলিমিটেড নামে একটি চলচ্চিত্র প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন। এই প্রতিষ্ঠানের প্রথম দুটি ছবি ফির ভি দিল হ্যায় হিন্দুস্তানি(২০০০) এবং অশোকা (২০০১) ব্যবসাসফল হয়নি।[২৫][২৬].
তার প্রযোজিত তৃতীয় ছবি চলতে চলতে (২০০৩) ব্যবসাসফল হয়,[২৭] ২০০৪ সালে তিনি আরেকটি প্রতিষ্ঠান স্থাপন করেন রেড চিলিস এন্টারটেনমেন্ট নাম দিয়ে এবং এখান থেকে ম্যায় হুঁ না (২০০৪) চলচ্চিত্রটি প্রযোজনা করেন যা বলিউডে দারুন ব্যবসা করে।[২৮] ২০০৫ সালে তিনি কল্পকাহিনী নিয়ে পহেলি চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেন যা অ্যাকাডেমি পুরস্কারের জন্য ভারত থেকে মনোনয়ন পায়, তবে পুরস্কার জিততে পারেনি। ভারতের চলচ্চিত্র জগতে পহেলি তেমন সফলতা পায়নি।[২৯] একই বছর তিনি কাল নামে একটি চলচ্চিত্র সহ-প্রযোজনা করেন। এ ছবিতে তিনি অভিনয় না করলেও একটি আইটেম গানের দৃশ্যে মালাইকা অরোরা খানের সাথে অভিনয় করেন। কাল মোটামুটি সফলতা পায়।[২৯]
রেড চিলিস এন্টারটেনমেন্ট থেকে নির্মিত পরের ছবি ওম শান্তি ওম ২০০৭ সালের সবচেয়ে সফল ছবি। এইছবিতে ৩০ জনের বেশি নামী অভিনেতা একটি গানের দৃশ্যে অভিনয় করেছেন।

অন্যান্য কর্ম[সম্পাদনা]

টেলিভিশন[সম্পাদনা]

খান জি কার্নিভাল সান সিটি, সিঙ্গাপুর ২০০৮.
জনপ্রিয় ব্রিটিশ গেম শো হু ওয়ান্টস টু বি আ মিলিয়নিয়ার? এর হিন্দি সংস্করন কৌন বনেগা ক্রোড়পতি এ তিনি সঞ্চালকের ভূমিকা পালন করেছেন।[৩০] এক্ষেত্রে তিনি সাবেক উপস্থাপক অমিতাভ বচ্চনের কাছ থেকে দায়িত্ব নেন যিনি ২০০০ সাল থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত এটি উপস্থাপনা করে জনপ্রিয়তা পেয়েছিলেন। ভারতের টেলিভিশনের ইতিহাসে এটি অন্যতম জনপ্রিয় অনুষ্ঠান। ২০০৭ সালের ২২ জানুয়ারি সোমবার শাহরুখ খান কেবিসি এর তৃতীয় মরশুম শুরু করেন। এই মরশুম শেষ হয় ২০০৭ সালের ১৯ এপ্রিলে।[৩১] ২৫ এপ্রিল ২০০৮ থেকে শাহরুখ আর ইউ স্মার্টার দ্যান আ ফিফথ গ্রেডার? এর হিন্দি সংস্করণ ক্যা আপ পাঁচবি পাস সে তেজ হ্যায়? এর সঞ্চালকের ভুমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন। [৩২]

মঞ্চ অনুষ্ঠান[সম্পাদনা]

আইপিএল ক্রিকেট দলের মালিকানা[সম্পাদনা]

খানের সাথে সাবেক KKR-এর অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলী ওগৌরী খান
শাহরুখ খান, তাঁর রেড চিলিস এন্টারটেনমেন্ট এর মাধ্যমে, ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লীগ এর দল কলকাতা নাইট রাইডার্সেরঅন্যতম মালিক। তিনি এবং তাঁর বন্ধু ও সহ-অভিনেত্রী জুহি চাওলার স্বামী জয় মেহতা এই দলটিকে কিনে নেন।[৩৩]প্রসংগত উল্লেখ্য যে শাহরুখ, কলকাতা ছাড়াও দিল্লী, মুম্বাই, চন্ডীগড় এবং জয়পুরের জন্য দরপত্র দিয়েছিলেন।[৩৪]

নির্বাচিত চলচ্চিত্রের তালিকা

বছরচলচ্চিত্রচরিত্রটীকা
১৯৯২দিওয়ানারাজা সাহাইফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিষেক পুরস্কার
১৯৯৩বাজীগরঅজয় শর্মা / ভিকি মালহোত্রাফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার
১৯৯৪কাভি হাঁ কাভি নাসুনীলFilmfare Critics Award for Best Performance
১৯৯৪আঞ্জামবিজয় অগ্নিহোত্রীফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ খলনায়ক পুরস্কার
১৯৯৫দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গেরাজ মালহোত্রাফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার
১৯৯৭দিল তো পাগল হ্যায়রাহুলফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার
১৯৯৮কুছ কুছ হোতা হ্যায়রাহুল খান্নাফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার
২০০০মোহাব্বতেরাজ আরিয়ান মালহোত্রাফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা সমালোচক পুরস্কার
২০০২দেবদাসদেবদাস মুখার্জিফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার
২০০৪স্বদেশমোহন বারগাভাফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার
২০০৭চাক দে! ইন্ডিয়াকবির খানফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার
২০১০মাই নেম ইজ খানরিজওয়ান খানফিল্মফেয়ার শ্রেষ্ঠ অভিনেতা পুরস্কার


No comments:

Post a Comment